লক্ষ্মীপুরে পানিবন্দি ছয় লাখ মানুষ । আমাদের সময়ে ছবি |
লক্ষ্মীপুরে টানা বর্ষণ ও মেঘনা নদীতে পানি জমে সর্বত্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে । ছয় লাখ মানুষ পানিতে তলিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা প্রশাসন গ্রামবাসীর সাথে খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ করছে । এ ছাড়া , প্রশাসন এখনও জল দণ্ডিতদের শুকনো খাবার দেয় ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও রামগঞ্জ সবকটিতেই বন্যা দেখা দিয়েছে ।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের মতে , জেলার বন্যায় প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিতে আটকা পড়েছে । গত সপ্তাহের বুধবার থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে । এছাড়াও , 189টি অস্থায়ী ও স্থায়ী ঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে ।
জেলা প্রশাসক জানান , লক্ষ্মীপুরের খালগুলোতে ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা অবৈধভাবে বাঁধ দিয়েছে । এতে পানি প্রবেশ করতে পারছে না । এই অর্থে , তারা আমাদের তথ্য সরবরাহ করছে । জনগণের সহযোগিতায় ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ করা হচ্ছে । যারা পানিবন্দী তাদের সহায়তায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ।
নদীর ভাটার কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা কমাতে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ - উজ্জামান খানের মতে , সব স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে । জোয়ার বেশি হলে গেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে । আমাদের কর্মীদের প্রতিনিয়ত নজর রাখা হচ্ছে ।
উল্লেখযোগ্য হলো : রামগতি উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়ন , রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার দশ - বারোটি ইউনিয়ন , সরকারি কলেজ রোড , সমসরাবাদ , লামছড়ি , মজুপুর , ও লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার কালুহাজী সড়কসহ অধিকাংশ ইউনিয়নসহ প্রায় সবকটি ইউনিয়ন । কমলনগর উপজেলার নাসিরগঞ্জের কমলনগর উপজেলার চারলরেন্স ও চরকালকিনি বুধবার থেকে পানিতে তলিয়ে গেছে । এলাকাবাসীর দুর্দশা দেখা যায় ।